প্রশ্ন উত্তর মুখস্থ করার পদ্ধতি

 প্রশ্ন উত্তর মুখস্থ করার পদ্ধতি  -

প্রশ্ন উত্তর মুখস্থ করার পদ্ধতি


প্রশ্নোত্তর মুখস্ত করার নির্দিষ্ট কোনো ভঙ্গি নেই।  আছে  কিছু কৌশল।  তুমি যেভাবে সেভাবে বসে বা শুয়ে মুখস্ত করার কাজ করতে পারো।  যেভাবেই হউক মুখস্ত করার ক্ষেত্রে মনোযোগ দেয়াই আসল কথা। আবার পড়ার ভিতর মনকে ডুবিয়ে ফেলতে হবে যাতে তোমার মন পড়াটা পড়ে মজা পায়। মজা না পেলে কিন্তু পড়া ভালোভাবে মুখস্ত হবে না। তবে মুখস্ত করার ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা হলো যে অংশটুকু মুখস্ত করতে চাও তা দু একবার আস্তে আস্তে বা মনে মনে ধীর গতিতে পড় ও বুঝতে চেষ্টা কর। সাথে সাথে প্রসঙ্গ ভিত্তিক প্যারা বা এক এক অংশ পৃথক ভাবে চিহ্নিত কর। 

এবার একেকটা পেরা বা অংশ ( দু এক শব্দ বা বাক্য ) বার বার মনোযোগ সহকারে আস্তে আস্তে ( জোরে নয় ) পড় ও না দেখে বলতে অভ্যাস কর। এভাবে সম্পূর্ণ পেরা বা অংশগুলো না দেখে বলতে থাক। দেখবে খুব অল্প সময়েই প্রশ্নোত্তর আয়ত্তে এসে গেছে। আবার সম্পূর্ণ নীরব পড়ার চেয়ে আবৃত্তি করে পড়া অনেক ভালো। সম্ভব হলে পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে তাল ও ছন্দ আবিষ্কার করে নিয়ে শিখতে হবে। আবার প্রশ্নোত্তরটি নিজের আঞ্চলিক ভাষায় গল্পের মতো অভিনয় করেও শিখা যায়। 

একই পদ্ধতিতে ইংরেজি মুখস্ত করতে পার। প্রথমে প্রতিটি  ইংরেজি শব্দের ও বাক্যের অর্থ শিখতে হবে। তারপর যতটুকু ইংরেজি মুখস্ত করতে হবে ততটুকুর বাংলা অর্থ হৃদয়ে ভাসাতে হবে। যাতে ইংরেজি বলার সময় বাংলার দিকে খেয়াল করে বলা যায়।  যখন ঘুমাতে যাবে তখন শুয়ে শুয়ে কঠিন প্রশ্নত্তরটি মনে মনে খেয়াল করার চেষ্টা করবে।

মনে রাখবে, যখন যে বিষয় পড়বে, তখন সে বিষয় নিয়েই চিন্তা করবে। যেমন ইংরেজি পড়তে বসে বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। অথবা ইতিহাস পড়তে বসে ইংরেজি নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। তবে যখন যে বইয়ের যে অংশটুকু পড়বে শুধু সেটুকু নিয়েই ভাববে। কেননা মানব মস্তিস্ক এক সাথে অনেকগুলো কাজ করতে পারেনা।   


প্রশ্নোত্তর উত্তর রিভাইজ 


রিভাইজ (). পূর্বকৃত কোনো কাজের প্রতি পুনরায় দৃষ্টি দিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। মুখস্ত বিদ্যা পুনরায় অধ্যয়ন করা নির্ভর করে ছাত্রের ব্রেইনের উপর। তাই কতবার কতদিন পরপর অধ্যয়ন করতে হবে তা শিক্ষার্থীরই নির্ধারণ করা উচিত। আর দ্বিতীয়বার অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ছাত্রকে সবচেয়ে বেশি ধৈর্য ও মনোবলের পরিচয় দিতে হবে। 

তাই রিভিউ বা পুনরায় অধ্যয়নের ক্ষেত্রে রুটিন অনুযায়ী একটু বেশি সময়  ব্যায় করতে হবে। তুমি যখন কোনো প্রশ্নোত্তর রিভাইজ দিতে স্থির করবে, তখন ঐ  প্রশ্নের পয়েন্টগুলোর বা মূল বিষয়টা সর্বপ্রথম স্বরণ করবে। এর পর বই বন্ধ করে ঐ পয়েন্ট বা বিষয়ের আলোকে বলতে থাক। যদি এতে মনে না আসে তাহলে দু তিনবার ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে পরে নাও ও পৃথক করে মনে রাখা খুবই জুরুরি।


আবার বর্ণনামূলক প্রশ্ন পড়ার পর তার একটি ছবি মনে মনে আঁক। তোমার বাড়ি-ঘর, পুকুর, আঙিনায় ছবি যেভাবে তোমার চোখে-হৃদয়ে ভাসে, তেমনি ভাবে তোমার প্রশ্নের চোখে-হৃদয়ে ভাসতে হবে। এভাবে যে কোনো প্রশ্নোত্তর রিভাইজ দিলে আশা করা যায় উত্তর সহজেই আয়ত্বে এসে যাবে।

কবি এইচ, রকী লিখেছেনঃ-
খেয়েছে সকাল বেলা,
বিকেলে ক্ষুধার জ্বালা
ঐ ঝঝ্ঝড়া পড়া,
হয়ে যায় নড়বড়া। 
তাই ভুলে যাওয়ার আগে 
পুনরায় তা পড়া লাগে।  



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ