গাঁজার ক্ষতিকারক প্রভাব । Harmful Effects of Gaza
গাঁজার ক্ষতিকারক প্রভাব । Harmful Effects of Gaza. আসসালামু আলাইকুম, গাঁজা সেবনের বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঠিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। আর এ কারণে ক্ষতিকর এ নেশাতে অনেকেই আচ্ছন্ন হয়ে পরে। বৃদ্ধ বা উঠতি বয়সের অনেকের ছেলেমেরা আড়ালে গাঁজা সেবন করছে। যদিও কিছু বিষয় জানা থাকলে এই নেশা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আজকে আপনাদের মাঝে গাঁজা সেবনের ৭টি ক্ষতিকর অবাক সমূহ তুলে ধরছি।
প্রথম দিকে আপনাদের মাঝে বিষয় সমূহ গুলো উল্লিখিত করছি
- এটি রক্তবাহী শিরা ধ্বংস করে।
- টেস্টি কুলার ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়ায়।
- স্বল্প মেয়াদি স্মৃতিশক্তি লোপ।
- সৃজনশীলতা নষ্ট করে।
- মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে।
- সামাজিকতায় প্রভাব।
- জীবনে সাফল্য লাভ অন্তরায়।
গাঁজার ধোঁয়া কতটা ক্ষতি করে তা অনেকেরই নেই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি রক্তবাহী শিরার উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন জানিয়েছে, তারা ইঁদুরের উপর গাঁজার ধোয়ার প্রভাব পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন যে, এটি রক্তবাহী শিরার মারাত্মক ক্ষতি করে। মাত্র এক মিনিট গাঁজার ধোয়াতে থাকলে তা রক্তবাহী শিরার উপর কমপক্ষে ৯০ মিনিট ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। এতে রক্ত পরিবহন প্রভাব বিস্তার করে। এতে রক্ত পরিবহন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
# টেস্টি কুলার ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়ায়।
পুরুষের টেস্টিকুলার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় গাঁজা। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কালোফোর্নিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে , গাঁজা সেবনে ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায় ক্যান্সারের আশংকা।
# স্বল্প মেয়াদি স্মৃতিশক্তি লোপ।
গাঁজা সেবনকারীদের প্রায়ই নানা বিষয় ভুলে যাতে দেখা যায়। আর অন্য কিছু নয় , গাঁজার প্রভাব। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন , গাঁজা সেবনকারীদের মস্তিষ্কে কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। আর এ কারণে তাদের কিছু স্মৃতিও স্বল্পমেয়াদে হারিয়ে যায়। বেশিমাত্রায় গাঁজা সেবনে মস্তিষ্কের এ ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যায়, যা আর ভালো হয় না।
# সৃজনশীলতা নষ্ট করে।
বহু মানুষেরই ধারণা গাঁজা সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। যদিও এ ধারণা ভুল বলেই জানাচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা। এটি তাদের সৃজনশীলতা বাড়ায় না বরং কমিয়ে দে।
# মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে।
গাঁজা মস্তিষ্কের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে। এ কারণে তা মানুষকে অস্বাভাবিক করে দেয়। দীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণায় এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকরা।
# সামাজিকতায় প্রভাব।
গাঁজা নানাভাবে শুধু শরীরের উপরই প্রভাব বিস্তার করে না , এটি মানুষের আচার-আচরণের উপরেও প্রভাব বিস্তার করে। এ কারণে গাঁজাসেবীর নানা আচরণগত বিষয় অন্যরা বুঝতে পারে। আর এতে সামাজিকতায় ও প্রভাব বিস্তার করে। ফলে গাঁজাসেবী অনেকটা একঘরে হয়ে যায়।
# জীবনে সাফল্য লাভ অন্তরায়।
গাঁজাসেবীর দেহে নানা ধরণের প্রভাব পড়ে। এতে স্মৃতিশক্তি যেমন ধ্বংস হয় তেমন মানসিক স্থিরতাও আসেনা। এ কারণে গাঁজাসেবী কোনো বিষয়ে স্থীর হতে পারে না। এতে তার জীবনের সাফল্যও বাধাগ্রস্ত হয়।
সবশেষে বলতে চাই এ কারণ ছাড়াও বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please validate the captcha